কেমন আছেন সবাই আশা করি ভালো আছেন। আপনাদের সবাইকে আমার এই পোস্ট এ স্বাগতম। আজকে আমরা আলোচনা করব ফ্রিলান্সিং নিয়ে। আমরা সবাই ফ্রিলান্সিং এর নাম শুনেছি অনেকেই হয়ত জানি অনেকে জানি না। যারা জানেন না তাদের জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট। আজকে আমরা জানব ফ্রিলান্সিং কি, কি ভাবে শিখব, কোন কোন ক্যাটাগরিতে ফ্রিলান্সিং করা যায় ইত্যাদি । তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ফ্রিলান্সিং কি?
আমরা প্রথেই জানব ফ্রিলান্সিং আসলে কি । মুলত ফ্রিলান্সিং এর অর্থ হোল মুক্ত পেশা। এর মানে হল আপনাকে কোন নির্দিষ্ট বেক্তি বা কোম্পানির অধীনে কাজ করতে হবে না। অর্থাৎ আপনি কোন কোম্পানিতে পার্মানেন্ট কর্মী হয়ে কোন কাজ করবেন না। আপনি প্রোজেক্ট বেস কাজ করবেন। ধরুন আমি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার এখন কোন একটা কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট তাকে গুগল এ রাঙ্ক করাতে চাইছে এখন আপনি চুক্তিতে তার ওয়েবসাইট তাকে রাঙ্ক করে দিলেন এবং অই কোম্পানি আপনাকে আপনার চুক্তির টাকা দিয়ে দিল। এটাই হল ফ্রিলান্সিং। আর যে সকল লোকজন এই ধরনের কাজ করেন তাদের কে বলা হয় ফ্রিলান্সার। আমাদের দেশেও অসংখ্য ফ্রিলান্সার আছেন। একটি জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লক্ষ ফ্রিলান্সার আছে। যারা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ।
কি কি জিনিস জানতে হবে যদি আপনি ফ্রিলান্সিং করতে চান ?
ফ্রিলান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশই কোন না কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। কারন আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের কোন কাজ চুক্তির ভিতিতে সম্পূর্ণ করে অর্থ উপার্জন করতে হবে। তার পরও কমন কিছু বিষয়ে আপানর জ্ঞান থাকতে হবে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলঃ-
- ইন্টারনেটঃ আপনার বাসায় অবশই ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। কারন ইন্টারনেট ছাড়া ফ্রিলান্সিং এর কাজ করা একেবারেই সম্ভব না।
- কম্পিউটার সম্পর্কে দক্ষতাঃ আপনাকে অবশই কম্পিউটার ব্যাবহার সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। কারন আপনাকে সকল কাজ কম্পিউটার এর মাধ্যমেই করতে হবে এবং কাজ শেষ হলে সেটা আপানর ক্লায়েন্টে কে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যাবহার করেই পাঠাতে হবে।
- ইংরেজিতে দক্ষতাঃ যেহেতু আমরা সকলেই জানি ফ্রিলান্সিং এর কাজ যারা দেন তারা সকলেই দেশের বাইরে থাকেন। তার মানে আপনি তাদের থেকে কাজ নিতে চাইলে বা কাজ বুঝাইয়া দিতে চাইলে তাদের সাথে কথা বলতে হবে বা যোগাযোগ করতে হবে। আর তারা যেহেতু বাংলা জানে না তাই ইংরেজিতেই আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। তার জন্য ইংরেজি সম্পর্কে অবশই আপনার ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
ফ্রিলান্সিং এর কিছু অতি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি ঃ
- ডাটা এন্ট্রিঃ এই ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টে আপনাকে একটা পিডিএফ ফাইল দিবে আপনাকে সেটা এক্সেল বা ওয়ার্ড এ লিখে দিতে হবে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনঃ এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ক্লায়েন্টে এর ওয়েবসাইট কে গুগল এর প্রথম পেজে নিয়ে আসবেন।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ঃ আপনি আপানর ক্লায়েন্টে এর জন্য কোন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে দিলেন ইত্যাদি ।
উপরুক্ত বিষয় ছারাও আর বিভিন্ন রকম কাজ আছে যা আপনি ফ্রিলান্সিং হিসেবে করতে পারবেন।

ফ্রিলান্সিং এর কাজ আপনি কি করে শিখবেন ?
বর্তমান যুগ ইন্টারনেট এর যুগ আপনি ঘরে বসেই যে কোন কিছু শিখতে পারেবন । এর জন্য প্রয়োজন আপনার অদম্য ইছে আর কাজ করার মানসিকতা। আপনি ঘরে বসে ইউটিউব বা অনলাইন বিভিন্ন ব্লগ এর আর্টিকেল এর মাধমেও এই কাজ গুলো শিখতে পারবেন খুব সহজেই।
আপনি কি ফ্রিলান্সিং শুরু করতে চাইছেন তাহলে এই টিপস টা আপনার জন্য ঃ-
- আপনি যে কোন কাজ সেখার আগে অবশই এমন একটা ক্যাটাগরি বাছাই করবেন যেটা করতে আপানর ভালো লাগে বা যে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ অনেক বেশি।
- এর পর আপনি ভালভাবে কাজ শিখে তার পরেই ক্লায়েন্টে এর কাজ নিবেন।
- আপনি অবশই ডেডলাইন ফলো করবেন। আপনি যে দিন আপানার কাজ ডেলিভারি করার তারিখ দিবেন অই দিনি সেই কাজ টা ডেলিভারি দিবেন।
ফ্রিলান্সিং এর কাজ পাবেন কথায় ?
এখন কথা হল আপনি কাজ শিখলেন দক্ষ হলেন এখন কাজ কি করে করবেন কাজ কথায় পাবেন। আন্তজাতিক ভাবে বেশ কিছু ফ্রিলান্সিং প্লাটফরম রয়েছে যেখানে আপনি ফ্রিলান্সিং সম্পর্কিত যে কন ধরনের কাজ করতে পারেবেন। এর মধে রয়েছে ফাইভার, আপুয়ারক, ফ্রিলান্সের ইত্যাদি। এই সব প্লাটফরম গুলো হল খুবী বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নিচিন্ত ভাবে কাজ করতে পারেন। আপনি সঠিক ভাবে কাজ করে থাকলে পেমেন্ট ১০০% পাবেন।
উপরুক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম ফ্রিলান্সিং কি, কি ভাবে ফ্রিলান্সিং শিখব, কথায় কাজ পাব ইত্যাদি। এর পরও যদি ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনাদের কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশই পোস্ট এর কমেন্ট এ জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ