আপনি এ্যাফিলেট মার্কেটিং করে কমিশন এর মাধমেও ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এ্যাফিলেট মার্কেটিং যে কোন বিজনেস এর পণ্য বা সেবার বিক্রি অনেক টাই বাড়িয়ে দেয় আর এর জন্যই তখন এই বাড়তি বিক্রির জন্য কমিশন প্রদান করে থাকে। আর এই কমিশন মূলত একটা নির্দিষ্ট রেশিওর উপর নির্ভর করে প্রদান করে থাকে। যেহেতু এ্যাফিলেট মার্কেটিং বিক্রিয় বারাতে সহায়াতা করে থাকে তাই যে কোন বিজনেস এর জন্য এ্যাফিলেট মার্কেটিং খুবী গুরুত্ত পূর্ণ। তাই আজকে আমরা এ্যাফিলেট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আসুন শুরু করি।

এ্যাফিলেট মার্কেটিং এর মডেলটা কি ভাবে কাজ করে?
১. প্রথম স্টেপঃ আপনি যদি একজন সফল এ্যাফিলেট মার্কেটার হতে চান তাহলে আপনার কাছে সম্ভাব্য ক্রেতাদের একটি ইমেইল লিস্ট থাকতে হবে, না হলে একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে, কিংবা একটি ব্লগ থাকতে হবে অথবা বলতে পারেন এমন একটি মাধ্যম আপনার কাছে থাকতে হবে যার মাধ্যমে আপনি আপনার এ্যাফিলেট লিংক টি সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে পোছাতে পারবেন।
২. দ্বিতীয় স্টেপঃ এখন আপনার দ্বিতীয় যে কাজ টা হোল ভালো একটা কোম্পানি খুজে বের করা। যার প্রোডাক্ট বা সেবা ভালো এবং যে ভালো কমিশন প্রদান করে। আর অবশই তার এ্যাফিলেট প্রোগ্রাম থাকতে হবে। তার পড়ে আপনি সেই কোম্পানির সাথে এ্যাফিলেট প্রগ্রামে যোগ দিবেন। তার পড়ে আপনি সেই কোম্পানির ওয়েবসাইট এর সকল পণ্য এর মধ্য থেকে সব থেকে বেশি যে পণ্য গুলো বিক্রি হছে বা ট্রেনড এ যে পণ্য গুলো আছে এমন পণ্য গুলো নির্বাচন করবেন। তার পড়ে সেই সকম পণ্য এর এ্যাফিলেট লিংক তৈরি বা জেনারেট করবেন।
3. তৃতীয় স্টেপঃ আপনি পূর্বে যে এ্যাফিলেট লিংক গুলো তৈরি করেছেন এখন এই পর্যায় এসে সেই সকল লিংক প্রচার করতে হবে। সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে এই লিংক গুলো পোছাতে হবে। এই কাজটি করার জন্য আপনি একটা ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন সেখানে এই সব পণ্য গুলো পাবলিশ করতে পারেন আর অর্ডার নাও বাটনে আপনার পণ্য টির এ্যাফিলেট লিংক দিয়ে দিতে পারেন কেও যদি অর্ডার নাও বাটন এ ক্লিক করে তাহলে মাইন ওয়েবসাইট এ চলে যাবে আর সেখান থেকে কিছু কিনলে আপনি কমিশন পাবনে। আপনি চাইলে আপনার এই পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন ব্লগ সাইট এ গিয়া রিভিও লিখতে পারেন আর কেনার জন্য আপনার এ্যাফিলেট লিংক দিয়ে দিতে পারেন আপনার রিভিও আর্টিকেল এর নিচে। সেখানে ক্লিক করেও যদি কেও পণ্য টি ক্রয় করে তাহলেও আপনি কমিশন পাবনে। আর যদি এমন হয় কোন একজন ক্রেতা আজকে আপনার লিংক এ ক্লিক করল কিন্তু ক্রয় করল না। দুই তিন দিন পড়ে সে আসে ক্রয় করল তাহলেও আপনি সেই বিক্রির জন্য কমিশন পাবেন। কারন ওয়েবসাইট গুলো সাত দিন বা তার বেসিও টাইম দিয়ে থাকে এর মধ্যে ক্রয় করলেও আমার কমিশন আপনি পেয়ে জাবেন।

আপনি চাইলে ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক পোস্ট, লিংকড ইন পোস্ট ইতাদির মাধমেও আপনার পণ্য টির এ্যাফিলেট লিংক প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে সকলেই আর্টিকেল পরার থেকে ভিডিও বেশি দেখে তাই আপনি যদি ব্লগ পোস্ট এর জায়গায় অই পণ্য নিয়ে একটা রিভিও ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে অবশই ব্লগ পোস্ট এর থেকে বেশি বিক্রি করতে পারবেন এবং বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এইখানে কথা একটাই আপনি বিক্রি করে দিতে পারলে কমিশন পাবেন।
৪. চতুথ এবং সর্ব শেষ ধাপঃ আপনি আপনার এ্যাফিলেট লিংক প্রচার করলেন বিক্রি করলেন এবং তার জন্য কমিশন ও পেলেন। এখন কি করবেন। এখন সেই টাকা তুলতে হবে না? হা এখন আমরা জানবো কি করে আপনি আপনার কমিশন এর টাকা তুলতে পারবেন। সাধারণত সকল কোম্পানির একটা নির্দিষ্ট পে আউট লিমিট থাকে। এখন ধরে নিলাম আপনার কোম্পানির পে আউট লিমিট হোল ১০ ডলার। মানে আমি যদি মিনিমাম ১০ ডলার কমিশ পান তাহলেই কেবল আপনি আপনার সেই কাখিত কমিশন এর টাকা তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপানর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আপনার এ্যাফিলেট অ্যাকাউন্ট এর সাথে সংযোগ করে দিয়ে উত্তলন এর জন্য আবেদন করলে আপনার কোম্পানি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ সেই ডলার পাঠিয়ে দিবে। তার পর আপনি যে কোন এটিএম বুথ থেকে আপনার অর্জিত টাকা আপনি তুলতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেল এ আমরা এ্যাফিলেট মার্কেটিং নিয়ে একদম বেসিক থেকে শুরু করে আলোচনা করেছি। তবুও যদি আপনাদের কারো কোন কিছু বুজতে কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
One comment